২১ ফেব্রুয়ারি কেন শহীদ দিবস হিসেবে পারিভাষিত হয়েছে, এটি সংশ্লিষ্ট ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক ঘটনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে।
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি, পূর্ব পাকিস্তানের (এখনে বাংলাদেশ) মাননীয় ভাষা বলতে বাংলা ভাষার প্রতি আত্মগতি ও অধিকার প্রকাশ করতে এবং পাকিস্তানি সরকারের অত্যাচার ও নানা অশান্তি উত্পন্ন হয়েছিল। বাঙালি ভাষা প্রচারের জন্য তাদের অধিকারের প্রতি উৎসাহ ও আত্মীয়তা প্রকাশ করতে, বাঙালিরা একই দিনে হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস, পোস্ট অফিস, বাজার, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, বিভিন্ন স্থানীয়তা এবং সারা দেশে ভাষা সংরক্ষণের দিনটি অবসর করেন। পাকিস্তানি সরকার এই অধিকারের প্রতি উদাসীনতা প্রদান করতে নিজেদের পক্ষ থেকে কারণ সংবেদনশীল হয়ে উঠেছিল। এর পরে ১৯৫২ সালের এপ্রিলে, পাকিস্তানি সরকার প্রচণ্ড নিখোঁজের পর এই অধিকারকে মান্য করে তোলেও সংবেদনশীলতা ও নিগ্রহের চেষ্টা থেকে বাচার হতে পারেননি।
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি, জনগণের এই প্রতিরোধে পৌরসভা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস, হাসপাতাল এবং অন্যান্য স্থানে অনূষ্ঠান করতে বাধ্য হয়েছিল। সহোদর ভাষা বলতে অস্ত্রবাহিনী চলাচলে অসুবিধা হতে থাকতেও জনগণ একই দিনে অনূষ্ঠান করেছিল। এই ঘটনার ফলে প্রায় ২০টি ব্যক্তি হত্যা হয়। তাদেরকে শহীদ হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়েছে।